দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট সেবায় কোয়ালিটি অব সার্ভিসের কথা বলে আসছে সরকার। কিন্তু এ খাতে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি হয়নি। সরকার ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস’ শতভাগ নিশ্চিত হচ্ছে কিনা, তা যাচাই করার জন্য কিছু প্যারামিটার সেট করেছে, যা দেখে বোঝা যায় গ্রাহক তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে। এসব প্যারামিটারই হলো ‘গ্রেড অব সার্ভিস’।
জানা গেছে, বিটিআরসি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৩টি, (এ, বি ও সি), আইআইজিগুলোর (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) জন্য ৩টি ও এনটিটিএন’র (ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা) জন্য ৫টি গ্রেড নির্ধারণ করেছে। ৫ বছর মেয়াদি এই ‘গ্রেড অব সার্ভিস’ চালু হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
পরবর্তীতে নতুন কোনও ট্যারিফ নির্ধারিত না হলে বিটিআরসির অনুমোদনক্রমে তা বলবৎ থাকবে। তবে কমিশন বাজার চাহিদা ও গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় যেকোনও সময় তা পরিবর্তন করতে পারবে।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য আমরা একটি মনিটরিং সেল চালু করবো সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে। কারা, কী সেবা দিচ্ছে তা এই সেল থেকে মনিটর করা হবে এবং কোনও সমস্যা হলে বা অভিযোগ পেলে তা সমাধান করা হবে।’
তথ্যমতে, বিটিআরসি থেকেও ‘গ্রেড অব সার্ভিস’ মনিটর করতে একটি সেল চালু করবে। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখের আগেই তা চালু হতে পারে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সরকার গত ৬ জুলাই সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার জন্য ‘এক দেশ এক রেট’ ঘোষণা করে। সেই ঘোষণায় ৫ এমবিপিএস (মেগাবিটস পার সেকেন্ড) ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তবে, সরকার এই রেট ঘোষণা করলেও সারাদেশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না আইআইজির সেবা ও এনটিটিএন’র সেবামূল্য বেঁধে না দেওয়ার কারণে।পরবর্তীতে সেই দামও বেঁধে দেওয়া হয়। বিটিআরসি কিছু শর্তও বেঁধে দেয়।
পরে আইএসপিএবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে সারা দেশে এক রেটে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। সংগঠনটি এও বলেছে, আগামী ২৬ মার্চ থেকে গ্রাহকরা ৫ এমবিপিএস’র দামে ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবা পাবে।