আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে ফ্যাশনেবল। ব্যক্তি বৈশিষ্ট অনুসারে এক এক জনের ফ্যাশন সচেতনতা এক এক রকম। ছেলেদের স্টাইলে প্রথমেই যে বিষয়টি চলে আসে তা হলো চুল। জামা কাপড়ের থেকেও ছেলেরা গুরুত্ব দেন চুলের প্রতি। প্রতিনিয়ত চুলের ছাঁটেও যোগ হয়েছে ভিন্নতা। এক একজনের মুখের গড়ন শরীরের ওপর নির্ভর করে।
আজ আমরা এখনকার জনপ্রিয় কয়েকটি হেয়ার স্টাইল বিষয়ে কথা বলবো।
শর্ট কাট: স্টাইলটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কিশোর ও তরুণদের কাছে। এটির বৈশিষ্ট্য হলো সব দিকের চুলই ছোট করে কেটে হেয়ার জেল দিয়ে স্টাইল করা যায়। একে অনেকে কক কাট বলে, বিদেশে এটা আন্ডার কাট নামে পরিচিত।
ক্ল্যাসিক কাট: এটি একটি পুরনো স্টাইল। কাজের ক্ষেত্রে ফরমাল পোশাকের সাথে এটি সবচেয়ে ভালো স্টাইল। স্টাইলটিতে চুলের একদিকে সিঁথি করে আচড়ানো হয়। মাঝবয়সী ছেলেদের এই স্টাইল চেহারায় মার্জিত একটা লুক নিয়ে আসে।
ফেড কাট: পেছনে ও কানের ওপরে চুল একদম থাকেই না বলা চলে এই স্টাইলে । কানের কমপক্ষে এক ইঞ্চি ওপর থেকে আর পেছনে মাথার অর্ধেক ওপর থেকে কাটা হয়।
ক্রু কাট: মাথার পেছনের দিকে ও পাশের চুলগুলো ট্রিম করে কাটা হয়। আর সেখান থেকে ওপরের দিকে ক্রমান্বয়ে চুল বড় ও কিছুটা খাড়া থাকে।
বাজ কাট: খেলা প্রিয়দের এই স্টাইল বেশ পরিচিত। সাধারণত খেলোয়াড় ও সৈনিকদের মধ্যে এই স্টাইল বেশি জনপ্রিয়। এই কাটে চুল ট্রিমার মেশিনে কাটা হয়। চুলের দৈর্ঘ্য থাকে এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। গোসলের পরেও এই চুল আঁচড়ানোর দরকার পড়ে না।
লেয়ার স্পাইক: চুলের নানা ধরনের কাটের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় লেয়ার স্পাইক। স্টাইলটির বিশেষত্ব হলো, কপালের ওপরের চুল ছোট করে স্পাইক রাখা। মাথার ওপরের দিকের চুল তুলনামূলক বড় হবে। অর্থাৎ সামনের চুল খুব ছোটও না আবার খুব বড়ও না। তবে পেছনের দিকে লেয়ার স্টাইল থাকতেহ হবে।
ইমো সুইপ: কমবয়সী ক্যাজুয়ালের জন্য বেস্ট একটি কাটিং হলো ইমো সুইপ। তবে কাটিংটির জন্য মাঝারি লম্বা চুল থাকা প্রয়োজন। ইমো স্টাইলটির বিশেষত্ব হলো চুলের ছাঁট সম্পূর্ণ এলেমেলো করে রাখা। তবে সামনের চুল কিছুটা বড় থাকবে। আর মাথার পেছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট করে রাখতে হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলো পুরো মুখটিকে ঢেকে দেয়। আর এটিই হলো ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের ইমো সুইপ স্টাইল।
লম্বা চুলের স্টাইল: এটি খুব চলমান একটি স্টাইল। বিশেষ করে অনেকেরই ঘন লম্বা চুল বেশ পছন্দ। চুল লম্বা হলে দুই কাঁধের ওপর ছড়িয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন রকম স্টাইল করা যায়। চুল সোজা কিংবা কোঁকড়ানো যা-ই হোক না কেন, ফ্যাশনে কিন্তু ভিন্নতা এনে দেয় লম্বা চুল।